হরমিস রাজ্য প্রাণঘাতী এক অতিমারিতে ডুবে গেছে, যা মানুষ ও পশুকে বিকৃত করে ফেলেছে। চিকিৎসা হিসেবে রোগজীবাণু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার চেষ্টা করা হলেও, সে উদ্যোগই শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খেলোয়াড় হন করভাস—স্মৃতিশূন্য এক রহস্যময় আলকেমিস্ট-যোদ্ধা—যিনি সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে জেগে ওঠেন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া সংকেত আর অতীতের যুদ্ধস্মৃতিতে ডুব দিয়েই তাঁকে বিপর্যয়ের ঘটনাপ্রবাহ পুনর্গঠন করতে হবে।
গেমপ্লের মূলে রয়েছে দ্রুত, আগ্রাসী ‘সোল্স-স্টাইল’ লড়াই, যেখানে দু’রকম ক্ষতি হয়: প্রথম আঘাতে ‘ঘা’ তৈরি হয়, আর ফিনিশার হয়ে সেই ক্ষতি স্থায়ী করে তোলে। ঐতিহ্যগত স্ট্যামিনা-বার না থাকায় লাগাতার চাপ বজায় রাখা উৎসাহিত হয়; নিখুঁত পারি ও ডজ শত্রুকে পাল্টা আঘাতের সুযোগ দেয়। করভাসের ‘কাক-রূপান্তর’ ক্ষিপ্র ড্যাশ ও পালক নিক্ষেপে বসদের বিপজ্জনক অ্যানিমেশন থামিয়ে দেয়।
সবচেয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্য প্লেগ-ওয়েপন ব্যবস্থা: প্রতিটি প্রাণীর শরীরে একটি জৈবিক অস্ত্র লুকিয়ে আছে, যা করভাস ছিনিয়ে নিয়ে নিজের ভাণ্ডারে যোগ করতে পারেন। চুরি করা এই আক্রমণগুলো ট্যালেন্ট ট্রি-র সুবিধার সঙ্গে মিলিয়ে বহুবিধ কম্বো সৃষ্টি করে—ভাঙা ব্লেডের বীভৎস খোঁচা থেকে শুরু করে ছুড়ে দেওয়া বিষাক্ত ঘূর্ণি পর্যন্ত। জন্তুদের রোগজীবাণু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তাই যুদ্ধকৌশল তো বটেই, প্লট-সংক্রান্ত সূত্রও জোগায়।
টুকরো টুকরো স্মৃতিচিত্রে গল্প এগোয়, আর শেষ অধ্যায়ের সিদ্ধান্ত ও সংগৃহীত শোধন-রসায়নের ওপর নির্ভর করে একাধিক শেষপ্রাপ্তি মিলতে পারে। আট ঘণ্টার মতো ছোট ক্যাম্পেইনটি ‘নিউ গেম+’ ও উঁচু কষ্টসাধ্য মাত্রা দিয়ে পুষিয়ে নিয়েছে। গথিক আতঙ্কে মোড়া আলকেমিক নকশা “নিষ্পতনে সৌন্দর্য”-এর ভাব জাগায়। খোলা দুনিয়ার বিস্তৃতি না-পসন্দ, তবু সুনিপুণ, তালসঙ্গত লড়াই আর গাঢ় অস্বস্তিকর আবহ পছন্দ—এমন খেলোয়াড়ের জন্য