ফিল্ম "বেবি বুমার ২: ৩৫ বছর আগেই" একটি বিকল্প বাস্তবতায় ঘটে যেখানে প্রযুক্তি মানুষকে সময়ের মধ্যে ফিরে যেতে দেয়। প্রধান চরিত্র একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, যিনি বেবি বুমার প্রজন্মের। হঠাৎ করে তিনি ৩৫ বছর পূর্বে, তার যৌবনের দিনে ফিরে যান। প্রথমে বিভ্রান্ত হলেও, তিনি তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে নিজের জীবন এবং আশেপাশের বিশ্বকে উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি দ্রুত জানতে পারেন যে তিনি একমাত্র সময়ভ্রমণকারী নন — অন্য বুমাররাও "দুর্ভাগ্যক্রমে" অতীতে উপস্থিত হয়েছেন, যারা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং ঘটনাগুলোর গতিবিধিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছেন। এটি কমেডি এবং নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যখন অতীত অপ্রত্যাশিতভাবে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। প্রধান চরিত্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বন্ধুদের বাঁচাতে হবে নাকি নিজের ইচ্ছা পূরণে এগোতে হবে।
কাহিনী যেমন এগোয়, সময় ও স্থানকে প্রভাবিত করার পরিণতি আরও গম্ভীর হয়ে ওঠে। চরিত্ররা বুঝতে পারে যে, প্রতিটি ছোট পরিবর্তন ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে অপ্রত্যাশিত প্রভাব ফেলে। উত্তেজনা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং ভবিষ্যতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
কাহিনী শেষ হয় সুখ কী এবং প্রতিদিন আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নিই তার গুরুত্ব নিয়ে চিন্তাভাবনায়। প্রধান চরিত্র অবশেষে তার সময়কাল ফিরে আসে, তবে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিক শান্তি নিয়ে। "বেবি বুমার ২: ৩৫ বছর আগেই" কেবল একটি সায়েন্স ফিকশন কমেডি নয়, এটি প্রজন্মের জ্ঞান, স্বপ্ন ও পরিবর্তনের অবশ্যম্ভাবিতা নিয়ে একটি গল্প।